শেখ হাসিনার রায় ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার, তল্লাশি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করবেন।

এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের প্রথম কোনো মামলায় বিচারের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। মামলার অপর দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের সাবেক আইজিপি।
 
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবন অভিমুখী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের চার দিক কড়া নিরাপত্তায় মোড়ানো হয়েছে। গেটের সামনে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ও ভেতরে পুলিশ র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, কারওয়ানবাজার রেলক্রসিং, মিরপুর, শাহবাগ, মগবাজার, গাবতলীতে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করতে।

তবে রাজধানীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দেখা গেছে। সড়কে রয়েছে যানবাহনের ভিড়, চলছে গণপরিবহন ও মেট্রোরেল। পুলিশ বলছে, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

এদিকে আজ রায় সরসারি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) বিটিভি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এছাড়া, ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকেও সরাসরি দেখানো হবে। পাশাপাশি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে বড় স্ক্রিনে লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের প্রত্যাশা করছে তারা।

রায়ে স্বচ্ছতা দাবি মির্জা ফখরুলের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান। 

বিএনপি মহাসচিব লেখেন, সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যেখানে গত বছরের ঢাকায় সংঘটিত প্রাণঘাতী সহিংসতা ও দমনপীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা পূর্ণ ন্যায়বিচার দাবি করছি।

প্রসিকিউশনের বক্তব্য

অভিযুক্তরা দণ্ডিত হলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিমদের পরিবারগুলোর মধ্যে বণ্টনের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউশন। গতকাল রোববার প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইনের বিধান অনুযায়ীই এই আবেদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু আইনে রয়েছে, তাই আমরা দোষীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আবেদন করেছি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দেবেন, প্রসিকিউশন তা মেনে নেবে।

প্রসিকিউটর আরও জানান, এই মামলায় শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন বিশ্বাস করেন, এ মামলায় আনা পাঁচটি অভিযোগই তারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে নারী হিসেবে কোনো রকমের সহানুভূতি বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। 

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা, আমার মক্কেলরা খালাস পাবেন।

মামলার বিচার কার্যক্রম

চলতি বছর ১০ জুলাই অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু হয় এবং ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। গত বছর ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ গঠনের পর থেকে তিন মাস ১৩ দিনের মধ্যে বিচার শেষ হলো।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

২০১০ সালের মার্চে স্থাপিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেখানে এ পর্যন্ত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারীদের মধ্যে ১৮৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় গত ১৪ বছরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে ৫৬টি রায় হয়। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত ১৫৫ আসামির মধ্যে ১০৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের (ফাঁসি) রায় হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে ২৫ জনের, ১২ জনের যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে ১২ আসামির। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক ৬২ জন। 

এর মধ্যে জামায়াতের সাবেক আমির প্রয়াত অধ্যাপক গোলাম আযমের বিচার শেষ হয়েছিল প্রায় ১০ মাসে। ২০১২ সালের ১৩ মে গোলাম আযমের মামলার অভিযোগ গঠন হয়। ১ জুলাই থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল বিচার শেষ হয়। এর পর দুই মাস ২৮ দিন পর ১৫ জুলাই রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারের রায়ে জামায়াতের সাবেক রুকন পলাতক আবুল কালাম আযাদের (বাচ্চু) মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছিল। ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর এক মাস ২২ দিন (৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৬ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়। 

একনজরে শেখ হাসিনার বিচার

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত বছরের ১৪ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ করেন শহীদ সিয়ামের বাবা বুলবুল ফকির। এতে প্রথম অভিযোগ ছিল শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, এক থেকে ৯ নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা দেশি এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে মামলা হিসেবে ট্রাইব্যুনালের ‘কমপ্লেইনার’ রেজিস্টারে নথিভুক্ত করা হয়। সে ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

এরপর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর ১৬ মার্চ সাবেক আইজিপি মামুনকে এ মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চলতি বছরের ১২ মে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। আর প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে গত ১ জুন। প্রসিকিউশনের দাখিল করা অভিযোগপত্রটি ছিল ১৩৫ পৃষ্ঠার। এর সঙ্গে আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার বিভিন্ন নথি ও তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জানে আলম খান ও মো. আলমগীর। 

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দমনে এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা ও ২৫ হাজার মানুষকে অঙ্গহানির উস্কানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’সহ মোট পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার বিচার শুরু হয়। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৩ অক্টোবর শেষ হয় মামলার বিচার। চলতি বছর গত ২ জুলাই আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন একই ট্রাইব্যুনাল।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যা বললেন 

গতকাল বরিশালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় যা-ই হোক না কেন, তা কার্যকর হবে। এ নিয়ে দেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে তা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

বরিশাল রণক্ষেত্র: সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ

বাসে হাফ ভাড়াকে কেন্দ্র করে সরকারি বরিশাল বজ্রমোহন (বিএম) কলেজের ছাত্রদের সাথে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা চলছে। এতে পুরো নথুল্লাবাদজুড়ে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে।

গুরুত্বর আহত প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা প্রায় ২০ টি বাস ভাঙচুর করেছে।

এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত শনিবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত পুরো বাস টার্মিনাল এলাকা ছাত্রদের দখলে রয়েছে।

ওইদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে নথুল্লাবাদ দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন এ রুটে চলাচল করা যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

বিএম কলেজের ছাত্র মো. রাজু বলেন, শনিবার হিজলা থেকে বিএম কলেজের ছাত্র আবু বক্কর  বরিশালগামী একটি বাসে আসছিলেন। এসময় বাসের সুপারভাইজারকে আবু বক্কর হাফ ভাড়া দিতে চায়। কিন্তু বাসের সুপার ভাইজার হাফ ভাড়া না নিয়ে আবু বক্করের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে তাকে (বক্কর) বাসের স্টাফরা মারধর করে গুরুত্বর আহত করে।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে বিএম কলেজের ছাত্ররা নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের কাছে বিষয়টির অভিযোগ দেন।

এসময় বাস টার্মিনালে উপস্থিত শত শত শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার খবর পেয়ে বিএম কলেজসহ বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজের ছাত্ররা জড়ো হয়ে শ্রমিকদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন-শ্রমিক ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন পুরো নথুল্লাবাদ এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।

বড়লেখায় কোভিড ডেথ টিমের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ; থানায় জিডি

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বড়লেখা ও জুড়ি টিম ফর কোভিড ডেথ টিমের কয়েকজন সদস‍্যের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে বড়লেখায় থানায় জিডি করেছেন টিমের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক – ছাদেকুর রহমান সোহেল।

অভিযুক্তরা হলেন : টিম কোভিড ফর কোভিড ডেথ এর ১. সভাপতি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন। ২. সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক বদর আহমদ। ৩. সদস‍্য হান্নান আহমদ।

অভিযোগ কারী টিম ফর কোভিড ডেথ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদেকুর রহমান সোহেল জানান সংগঠনে থাকা প্রায় ৯০ হাজার টাকা অভিযুক্ত রা আত্তসাৎ করেছে। আমি সংগটনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে সংগঠনের আয় ব‍্যায়ের হিসাব ১ নং অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের কাছে চাহিলে তিনি আমাকে হিসাব না দিয়ে বিভিন্ন অবান্তর কথা বার্তা বলে আমাকে সংগঠন থেকে বহিস্কারের হুমকি দেন। ও পরবর্তীতে শাহাব উদ্দিন সহ বাকি অভিযুক্তরা শাহাব উদ্দিনের ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভ এর মাধ‍্যমে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়ি বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথা বার্তা বলেন। মিথ‍্যা, বানোয়াট ও অশালীন কুরুচিপূর্ণ গালিগালাজ, কথা বার্থা বলেন। ও বাকি অভিযুক্ত রা ও তাদের ফেইসবুক আইডির মাধ‍্যমে আমাকে ও আমার পরিবার কে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ‍্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাতে থাকেন। যাহা আমাকে ও আমার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

তাদের এ অশালীন আচরনে অতিষ্ট হয়ে আমি গত ১৮/১০/২০২১ ইং তারিখে বড়লেখা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করি। এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত রা তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে আরও অপপ্রচার চালাতে থাকেন।

এবং পরবর্তীতে ১ নং অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিন আমাকে নিয়ে অশ্লীল, অবান্তর ও অসামাজিক মন্তব্য করে ফেইসবুকে ষ্টেটাস দিলে বিভিন্ন ধরনের লোক বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে হাসি টাট্টা ও বিদ্রূপান্তক মন্তব্য করে। এতে আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি। অভিযুক্ত রা যেকেনো সময় আমার জান মালের ক্ষতি করতে পারে।

তাই তিনি আইনের সহায়তা কামনা করেন।

বড়লেখার বর্নি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহিতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ইউনিয়ন বাসী (ভিডিও)

মৌলভীবাজার জেলার, বড়লেখা উপজেলার ১ নং বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জননেতা এমএ মুহিতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারন।

বর্নি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের অত্যন্ত প্রিয় সৎ নীতিবান ও উন্নত আদর্শিক চরিত্রের অধিকারী, কর্মীবান্দব এই নেতা আগামী ২৮ নভেম্বরে অনুষ্টিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে সাধারণ জনগনের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন‍্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ড, ও জন দুর্ভোগ লাগবে বিশেষ অবদান রেগেছেন। ও অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় ইউনিয়ন বাসীর মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলার মধ‍্যে সবচেয়ে অবহেলীত এই জনপদে দির্ঘদিন যাবত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, সামাজিক সহ বিভিন্ন সামান্য বিষয়ে থানা পুলিশ, কোর্ট, সহ বিভিন্ন দুর্নীতি বাজ ও দালাল দের জালায় অতিষ্ট ইউনিয়ন বাসি। এই সকল সমস‍্যা থেকে বেরিয়ে আসতে বর্নি ইউনিয়নের জনগন মনে করে একমাত্র এম এ মুহিত কেই এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে একান্ত প্রয়োজন।

তাই ইউনিয়নের জনগন দল, মত, ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এম এ মুহিত কে আগামী ২৮ তারিখের নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোট প্রাদানের প্রত‍্যয় ব‍্যাক্ত করেছেন।

আজ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের, ছালিয়া কাজির বন্দ গ্রামে নির্বাচনী জনসভায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে এমন ই মতামত প্রদান করেন।

বর্নির কাজির বন্দ ছালিয়া গ্রামে এম এ মুহিতের নির্বাচনক জনসভ।

বড়লেখার বর্নির আ;লীগ নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমদ দলীয় মনোয়ন ফরম কিনলেন।

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শামীম আহমদ । তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বর্নি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোয়ন ফরম ক্রয় করলেন।

এর আগে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের কাছে। পরে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, স্থানীয় সাংসদ. গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের আহব্বানে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত উপজেলার সকল মনোয়ন প্রত‍্যাশীদের নীয়ে শপত গ্রহন অনুষ্টানে উপস্থিত থেকে শপথ নেন। ইউপি নির্বাচনে দল থেকে মনোয়ন বঞ্চিত হলে কোন অবস্থায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন না।

আজ সকালে তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে দলের মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

Design a site like this with WordPress.com
Get started